বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৬

মসজিদের খাদেম(ইমাম-মুয়াজ্জিন) বা মন্দিরের সেবায়েতের জন্য বেতন কাঠামো

মসজিদের খাদেম(ইমাম-মুয়াজ্জিন)  বা মন্দিরের সেবায়েতের জন্য বেতন কাঠামো নির্ধারণের সুপারিশ


সমাজে রাজনৈতিক পরিচয় প্রতিষ্ঠার  পরিপূর্ণতা আনে ধর্মীয় স্থাপনার দেখবালের মধ্য দিয়ে ;এটি যেন অলিখিত সত্য।এককালে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের( মক্তব-মন্দির -মসজিদ) কর্তৃত্ব ছিল সমাজের শ্রর্দ্ধেয় এবং অধিকতর সৎ ব্যক্তিবর্গের অধীনে। এটি সবাই মেনে নিত।বর্তমানে অবস্থা বিভিন্ন দিকে পরিবর্তিত হয়েছে।
 বর্তমানে অপরাপর ক্ষেত্রের মত নতুন নতুন মসজিদ মন্দির নির্মানও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের সেবক ইমাম -মুয়াজ্জিন,বা সেবায়েতের জীবনমানের উন্নয়ন হয়নি।এঁরা সুবিশাল এক পেশাদার সমাজ এবং সময়ের ব্যাপারে  সবছে সতর্ক গোষ্ঠী। মুয়াজ্জিন প্রতিদিন পাঁচবার সঠিক সময়ে আজান দেন।ইমাম সাহেব নামাজ পড়ান সঠিক সময়ে  ।কিন্তু এঁদের জীবনমান উন্নয়নের ব্যাপারে সকলেই উদাসীন।
২০০৮ সালের হিসেবে  ইসলামি ফাউন্ডেশনের তালিকাভুক্ত মসজিদের সংখ্যা ২৫০৩৯৯(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার তিন শত নিরানব্বই  )।মন্দিরের সংখ্যাও ১৫০০০ এর কাছাকাছি হবে।এদের মধ্যে অধিকাংশই দারিদ্রের মাঝে দিন কাটায়।প্রায় ছয় লক্ষ পেশাদার যারা সমাজকে পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।শুধুমাত্র  আল্লাহ বা ঈশ্বরের ঘরের সেবার ব্রত নিয়ে আসার কারণে অর্থনৈতিক দিকে পিছিয়ে আছে।এদের অধিকাংশই অন্যের দয়া-দাক্ষিন্যের উপর নির্ভরশীন।অন্যদিকে,গীর্জার ফাদারদের বার্ষিক সম্মানী ১৭০০০USD$-৭০০০০ USD$-পর্যন্ত উঠা-নামা করে।তাঁরা সামাজিকভাবে খুব সম্মানিত এবং সচ্ছল।  
আল্লাহকে আমরা ভালবাসি বলে দাবি করি কিন্তু যারা আল্লাহর ঘরের সেবক তাঁদের জীবনমানের অবস্থা উন্নত করবার জন্য কারো মাথাব্যথা নেই।এখন এবিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে। আমরা বিশ্বাস করি সহৃদয় সরকার ইমাম মুয়াজ্জিন এবং সেবায়েতগণের জন্য বেতন কাঠামো নির্ধারণ করবেন এবং আল্লাহ বা ঈশ্বরের কৃপা লাভে প্রত্যাশী হবেন।
                                    ----

Printfriendly

Featured Post

জাতি নির্মাণে গল্পযোগ

  জাতি নির্মাণে গল্পযোগ   ১ ।   মানুষ সামাজিক জীব।তারা পরিবার গঠন করে।তারপর সে-ই পরিবার একটি গোষ্ঠীতে রুপান্তরিত হয় এবং ধীরে ধীরে একাধিক গোষ...