বালেশ্বরের পতন সংবাদ
(হজরত মোহাম্মদ সাঃএর জন্মদিনে)
১।বিষ্ময়করভাবে বালেশ্বর পতিত হলো ভূমিতে
ভেঙ্গে গেল তার সুবর্ণকর মুহূর্তের ব্যবধানে।
বহুকালের
পূজিত, ভজিত আর অজেয় বলে খ্যাত
বাল দেবতা পরাজিত হলো-
পরাজিত হলো নওবুয়তী লাঠির অব্যর্থ ইশারায় ।
বালেশ্বরের অপসৃয়মান হওয়া ছিল অনিবার্য নিয়তি,
সমাগত সত্যের প্রতিকূলে যাবার মতো
তার কোন ক্ষমতাই নেই ;
থাকবে কী করে
বাল দেবতা ছিল প্রাণহীন ;তাই
মানুষ বা প্রাণীর হিতসাধনের স্বপ্ন ছিল কল্পনার
অতীত -
সে তো
ভূগর্ভে প্রোথিত জীবন্ত শিশুর
আর্তনাদ শোনার কথা নয়,
সে-তো নিশ্চল জড়ের সমাহার
সে কী করে বুঝবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিভূষিত
কন্যার অক্ষয়
গৌরব?
বাল দেবতার চোখ ছিল দুটো ; কিন্তু সে ছিল অন্ধ
সে সুমাইয়াকে দেখেনি;দেখেনি জ্বলন্ত
আগুনে
পুড়ে যাওয়া পবিত্র তনুশ্রী।বাল দেবতা ছিল বধির
তাই, সে শুনেনি আর্তের আর্তনাদ।
তাই, ইলিয়াসের যজ্ঞপশু ভষ্ম হয়
স্বর্গীয় অগ্নিতাপে। বালের পূজারীর দল অবশেষে
দর্পচূর্ণে
চিরকালের শব্দহীন ;সারমেয়শিশু তাদেরই শোণিতধারায়
শক্তি পায়।আজ বালপুজারীর
বৈধ্যভূমি মরুভূমির বালিকাতলে অদৃশ্য
হয়ে গেছে। পৃথিবী কিংবা আকাশে তাদের জন্য কোন
রোদনকারী ছিলনা, কোন কবি তাদের জন্য মহিমাকীর্তন করে
পঙতিমালা রচনা করেনি কোনদিন।
২।আজ ইলিয়াসের যজ্ঞপশুর ভষ্মে পূর্ণ চতুর্পাশ
আজ আহমদের
নুরের ঝলক নষ্টভ্রষ্টের মহাত্রাস।
আজ মনকাবাতে কাবার ছবি শূণ্যসকল বালেররুপ
আজ মোহাম্মদের নামের ভূষণ নিত্য বিলায়
গন্ধধূপ।
১১.১১.২০১৯