বঙ্গমাতার প্রতি রোহিঙ্গামায়ের নিবেদন
আমি
বুলেটবিদ্ধ রোহিঙ্গা কিশোরী মা
বাংলার
পথে পথ হারানো বসনহীন-
দ্রৌপদীর
সহোদরা;আসিয়াছি
আজ
ক্রুদ্ধভাবে
নন্দন চরণে।----
একদিন, চর্চিত চন্দন ভালে বিশ্বজয়ী
দিয়েছিল
ঠাঁই তাঁর বিমল চরণে।
ন্যায্যতার
অন্বেষণে রক্তস্রোত বয়েছিল
অবিস্রান্ত
;কুরুক্ষেত্রে।জয়রথে
এসেছিল কৃষ্ণ;
সাথে
বিজয়ী পাণ্ডবদল!
আমি
রক্তাক্ত মা
হারিয়েছি
সব:মা,বোন,ভাই,সখি-সহচরী
আজ
অঙ্গহীন,সঙ্গীহীন
একাকী জননী ।
মাগো,
কেউ মরেছে মগের মুল্লুকে অগ্নিদহনে,
কেউ বেয়নেটের নির্মম আঘাতে আঘাতে,
কেউ শ্বাপদসংকুল জঙ্গলে একা,
কেউ নির্দয় বলৎকারে
সঙ্ঘবদ্ধ
সিপাহীদলের নিষ্ঠুর ব্যবহারে।
আমি
গৃহহারা ইহুদী মাতা আছিয়া খাতুন;
মুসার
তালাশে ক্রন্দনরত বিরতিহীন।
আমি
কৃতদাসী সুমাইয়া জ্বলন্তআগুনে পাথরচাপা
মুক্তিদূতের
প্রত্যাশায় প্রার্থনারত প্রচণ্ড মরুতাপে।
আজ
আমি, বাংলামায়ের
রাঙা চরণ ছুঁয়েছি দৃঢ়হাতে;
আজ
আমি ভয়হীন ;
কেউ
আর পারিবেনা ছিঁড়িতে আমার
শাড়ির
আঁছল নির্মম আঘাতে।
হায়েনারা
আর পারিবেনা পুড়িতে আমারে
বন্ধ
ঘরে;
নীলের
জলরাশি অশ্রহবে
সহসা ;
শুকনো
সমুদ্রতল পূর্ণহবে চোখের
পলকে ;
হীন
মৃত্যুর পথে হারিয়ে যাবে
নিপীড়ক
ফিরাউন।
শতমশালের
আলো ধাঁধাঁর মত
হয়ে
দেখাদিবে;
নিপীড়ক মরুবাসী ভয়ার্তমনে লুকোবে গৃহকোণে।
আমি
রোহিঙ্গা কিশোরী মাতা
পুত্রহারা ;
রৌরব
নরক ছেঁড়ে আসিয়াছি ছুঁটে
বাংলার
নন্দনকাননে।
সবহারানো
ইলেক্ট্রার মত এক বঙ্গজননী
আঁছল
দিয়েছে পেতে অসীমসাহসে।
মাগো,তুমি ভাসাও তোমার সমুদ্রপৌত
তরঙ্গিত
জলে;
নিপীড়িত জনতারে দাওনা ফিরিয়ে :ঘর-দোর-মাটি
আপন
আলয়;
বিশ্ববেহায়াদের
চক্রজাল বিদীর্ণ কর
অব্যর্থ
আঘাতে।
----
বঙ্গমাতার প্রতি রোহিঙ্গামায়ের নিবেদন
আমি
বুলেটবিদ্ধ রোহিঙ্গা কিশোরী মা
বাংলার
পথে পথ হারানো বসনহীন-
দ্রৌপদীর
সহোদরা;আসিয়াছি
আজ
ক্রুদ্ধভাবে
নন্দন চরণে।----
একদিন, চর্চিত চন্দন ভালে বিশ্বজয়ী
দিয়েছিল
ঠাঁই তাঁর বিমল চরণে।
ন্যায্যতার
অন্বেষণে রক্তস্রোত বয়েছিল
অবিস্রান্ত
;কুরুক্ষেত্রে।জয়রথে
এসেছিল কৃষ্ণ;
সাথে
বিজয়ী পাণ্ডবদল!
আমি
রক্তাক্ত মা
হারিয়েছি
সব:মা,বোন,ভাই,সখি-সহচরী
আজ
অঙ্গহীন,সঙ্গীহীন
একাকী জননী ।
মাগো,
কেউ মরেছে মগের মুল্লুকে অগ্নিদহনে,
কেউ বেয়নেটের নির্মম আঘাতে আঘাতে,
কেউ শ্বাপদসংকুল জঙ্গলে একা,
কেউ নির্দয় বলৎকারে
সঙ্ঘবদ্ধ
সিপাহীদলের নিষ্ঠুর ব্যবহারে।
আমি
গৃহহারা ইহুদী মাতা আছিয়া খাতুন;
মুসার
তালাশে ক্রন্দনরত বিরতিহীন।
আমি
কৃতদাসী সুমাইয়া জ্বলন্তআগুনে পাথরচাপা
মুক্তিদূতের
প্রত্যাশায় প্রার্থনারত প্রচণ্ড মরুতাপে।
আজ
আমি, বাংলামায়ের
রাঙা চরণ ছুঁয়েছি দৃঢ়হাতে;
আজ
আমি ভয়হীন ;
কেউ
আর পারিবেনা ছিঁড়িতে আমার
শাড়ির
আঁছল নির্মম আঘাতে।
হায়েনারা
আর পারিবেনা পুড়িতে আমারে
বন্ধ
ঘরে;
নীলের
জলরাশি অশ্রহবে
সহসা ;
শুকনো
সমুদ্রতল পূর্ণহবে চোখের
পলকে ;
হীন
মৃত্যুর পথে হারিয়ে যাবে
নিপীড়ক
ফিরাউন।
শতমশালের
আলো ধাঁধাঁর মত
হয়ে
দেখাদিবে;
নিপীড়ক মরুবাসী ভয়ার্তমনে লুকোবে গৃহকোণে।
আমি
রোহিঙ্গা কিশোরী মাতা
পুত্রহারা ;
রৌরব
নরক ছেঁড়ে আসিয়াছি ছুঁটে
বাংলার
নন্দনকাননে।
সবহারানো
ইলেক্ট্রার মত এক বঙ্গজননী
আঁছল
দিয়েছে পেতে অসীমসাহসে।
মাগো,তুমি ভাসাও তোমার সমুদ্রপৌত
তরঙ্গিত
জলে;
নিপীড়িত জনতারে দাওনা ফিরিয়ে :ঘর-দোর-মাটি
আপন
আলয়;
বিশ্ববেহায়াদের
চক্রজাল বিদীর্ণ কর
অব্যর্থ
আঘাতে।
----
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন