কবিতা

বঙ্গমাতার প্রতি রোহিঙ্গামায়ের নিবেদন

আমি বুলেটবিদ্ধ রোহিঙ্গা কিশোরী মা
বাংলার পথে পথ হারানো বসনহীন-
দ্রৌপদীর সহোদরা;আসিয়াছি আজ
ক্রুদ্ধভাবে নন্দন চরণে।----
একদিন, চর্চিত চন্দন ভালে বিশ্বজয়ী
দিয়েছিল ঠাঁই তাঁর বিমল চরণে।
ন্যায্যতার অন্বেষণে রক্তস্রোত বয়েছিল
অবিস্রান্ত ;কুরুক্ষেত্রে।জয়রথে এসেছিল কৃষ্ণ;
সাথে বিজয়ী  পাণ্ডবদল!
আমি রক্তাক্ত মা
হারিয়েছি সব:মা,বোন,ভাই,সখি-সহচরী
আজ অঙ্গহীন,সঙ্গীহীন একাকী জননী
মাগো, 
কে মরেছে মগের মুল্লুকে অগ্নিদহনে,
কে বেয়নেটের নির্মম  আঘাতে আঘাতে,  
কে শ্বাপদসংকুল জঙ্গলে একা,
কে নির্দয় বলৎকারে  
সঙ্ঘবদ্ধ সিপাহীদলের নিষ্ঠুর ব্যবহারে।

আমি গৃহহারা ইহুদী মাতা আছিয়া খাতুন;
মুসার তালাশে ক্রন্দনরত বিরতিহীন।
আমি কৃতদাসী সুমাইয়া জ্বলন্তআগুনে পাথরচাপা
মুক্তিদূতের প্রত্যাশায় প্রার্থনারত  প্রচণ্ড মরুতাপে।

আজ আমি, বাংলামায়ের রাঙা চরণ ছুঁয়েছি দৃঢ়হাতে;
আজ আমি ভয়হীন ;
কেউ আর পারিবেনা  ছিঁড়িতে আমার
শাড়ির আঁছল নির্মম আঘাতে।
হায়েনারা আর পারিবেনা পুড়িতে আমারে
বন্ধ ঘরে;
নীলের জলরাশি অশ্রহবে সহসা ;
শুকনো সমুদ্রতল পূর্ণহবে চোখের পলকে ;  
হীন মৃত্যুর পথে হারিয়ে যাবে
নিপীড়ক ফিরাউন
শতমশালের আলো ধাঁধাঁর মত
হয়ে দেখাদিবে;
 নিপীড়ক মরুবাসী ভয়ার্তমনে লুকোবে গৃহকোণে। 
আমি রোহিঙ্গা কিশোরী মাতা
পুত্রহারা ;
রৌরব নরক ছেঁড়ে আসিয়াছি ছুঁটে
বাংলার নন্দনকাননে।
সবহারানো ইলেক্ট্রার মত এক বঙ্গজননী
আঁছল দিয়েছে পেতে অসীমসাহসে।
মাগো,তুমি ভাসাও তোমার সমুদ্রপৌত
তরঙ্গিত জলে;
 নিপীড়িত জনতারে দাওনা ফিরিয়ে :ঘর-দোর-মাটি
                     আপন আলয়;
বিশ্ববেহায়াদের চক্রজাল বিদীর্ণ কর
অব্যর্থ আঘাতে।
       ----






  

 বঙ্গমাতার প্রতি রোহিঙ্গামায়ের নিবেদন

আমি বুলেটবিদ্ধ রোহিঙ্গা কিশোরী মা
বাংলার পথে পথ হারানো বসনহীন-
দ্রৌপদীর সহোদরা;আসিয়াছি আজ
ক্রুদ্ধভাবে নন্দন চরণে।----
একদিন, চর্চিত চন্দন ভালে বিশ্বজয়ী
দিয়েছিল ঠাঁই তাঁর বিমল চরণে।
ন্যায্যতার অন্বেষণে রক্তস্রোত বয়েছিল
অবিস্রান্ত ;কুরুক্ষেত্রে।জয়রথে এসেছিল কৃষ্ণ;
সাথে বিজয়ী  পাণ্ডবদল!
আমি রক্তাক্ত মা
হারিয়েছি সব:মা,বোন,ভাই,সখি-সহচরী
আজ অঙ্গহীন,সঙ্গীহীন একাকী জননী
মাগো, 
কে মরেছে মগের মুল্লুকে অগ্নিদহনে,
কে বেয়নেটের নির্মম  আঘাতে আঘাতে,  
কে শ্বাপদসংকুল জঙ্গলে একা,
কে নির্দয় বলৎকারে  
সঙ্ঘবদ্ধ সিপাহীদলের নিষ্ঠুর ব্যবহারে।

আমি গৃহহারা ইহুদী মাতা আছিয়া খাতুন;
মুসার তালাশে ক্রন্দনরত বিরতিহীন।
আমি কৃতদাসী সুমাইয়া জ্বলন্তআগুনে পাথরচাপা
মুক্তিদূতের প্রত্যাশায় প্রার্থনারত  প্রচণ্ড মরুতাপে।

আজ আমি, বাংলামায়ের রাঙা চরণ ছুঁয়েছি দৃঢ়হাতে;
আজ আমি ভয়হীন ;
কেউ আর পারিবেনা  ছিঁড়িতে আমার
শাড়ির আঁছল নির্মম আঘাতে।
হায়েনারা আর পারিবেনা পুড়িতে আমারে
বন্ধ ঘরে;
নীলের জলরাশি অশ্রহবে সহসা ;
শুকনো সমুদ্রতল পূর্ণহবে চোখের পলকে ;  
হীন মৃত্যুর পথে হারিয়ে যাবে
নিপীড়ক ফিরাউন
শতমশালের আলো ধাঁধাঁর মত
হয়ে দেখাদিবে;
 নিপীড়ক মরুবাসী ভয়ার্তমনে লুকোবে গৃহকোণে। 
আমি রোহিঙ্গা কিশোরী মাতা
পুত্রহারা ;
রৌরব নরক ছেঁড়ে আসিয়াছি ছুঁটে
বাংলার নন্দনকাননে।
সবহারানো ইলেক্ট্রার মত এক বঙ্গজননী
আঁছল দিয়েছে পেতে অসীমসাহসে।
মাগো,তুমি ভাসাও তোমার সমুদ্রপৌত
তরঙ্গিত জলে;
 নিপীড়িত জনতারে দাওনা ফিরিয়ে :ঘর-দোর-মাটি
                     আপন আলয়;
বিশ্ববেহায়াদের চক্রজাল বিদীর্ণ কর
অব্যর্থ আঘাতে।
       ----






  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Printfriendly

Featured Post

জাতি নির্মাণে গল্পযোগ

  জাতি নির্মাণে গল্পযোগ   ১ ।   মানুষ সামাজিক জীব।তারা পরিবার গঠন করে।তারপর সে-ই পরিবার একটি গোষ্ঠীতে রুপান্তরিত হয় এবং ধীরে ধীরে একাধিক গোষ...