শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৯

এক ডাহুকের গল্প

এক ডাহুকের গল্প

তাঁর ডাহুকী কণ্ঠ রক্ত ঝরিয়ে জন্ম দিল নতুন ভূমি- 
তার নাম হলো বাংলাদেশ। দরদী ডাহুক মনসার
 ফনায় বিক্ষত হল; অবশেষে দৃশ্যমান হলো তার
 শোনিতে রঙিন পুরো ব্রহ্মাণ্ড; আজ 
উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম সর্বব্যাপী বিস্তারিত 
রক্ত চিরন্তন শিল্পের রঙের উপমা । প্রতিটি 
বুলেটের আঘাত কোটি গ্রেনেড রুপে বিরাজিত।
তবুও আজ পতিত গুইসাপের উৎপাতে বিব্রত
 ডাহুকের ডেরা। তার ঝরিত রক্তের ইতিহাস 
পৃথিবী জানে, জানে বাংলার সবুজ গালিচা। 
তবে ভয় কী এগিয়ে যেতে দুনির্বার বেগে-
যখন আজ শান্ত হৈমন্তী সময়। ২৬.১০.২০১৯

শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

মৃত্যুর সংজ্ঞা

মৃত্যুর সংজ্ঞা

আমারা পরষ্পরে প্রেমপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালাম 
আর মানুষ নাম দিলো ভালোবাসা।আমরা
 বাৎস্যায়নের জগতে বিহারে গিয়ে ছন্দিত 
কামের স্বরুপ তালাসে প্রেমকে নিবেদন করলাম;
 আমাদের যুগলজন্ম হলো। অমরাবতীর অঙ্গনে
 ঈশ্বরকে সহাস্য  দণ্ডায়মান দর্শন করলাম। 
অন্তর্ধান না হলে নতুন করে প্রকাশের প্রশ্ন 
আসবে কেন? বিনির্মানের ধাপে ধাপে অজস্রবার 
জন্ম হলো আমাদের ;অগণিত মৃত্যু যদি না হবে   
নব নব জন্মের ইতিহাস রচিত হবে কোন পথে? 
নতুন জন্মের উল্লাসে নিঃশব্দে ক্ষয়ে যায় 
ঊনুর্ণাভের ভরাট বুক আর পাজর, বাতাসে 
উড়ে যায় তার অষ্টপদ অনায়াসে। এ কী মৃত্যু, 
না কী  নতুন অস্তিত্বে প্রত্যর্পণ?  না কী নতুন জন্ম?  



আমার অপসৃয়মান ছায়াকে তোমরা নাম দিলে মৃত্যু

 আমার আপেক্ষিক  দৃশ্যমানতাকেই তোমরা জীবন 
 বলতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে। দ্রবণের দ্রাবকের মতো 
ধূম্রবৎ আমার অদৃশ্য রুপ তোমাদের কাছে মৃত্যু আর 
নিঃশেষ;কিন্তু 'আমি'তো আছি অখণ্ডিত মণ্ডলাকারসম
জগতব্যপী বিরাজিত অনাদি  অনন্ত সত্ত্বা। এতএব 
আমার ছায়ার মৃত্যুর বার্তা তোমরা অনায়াসে প্রচার 
করে যেতে পারো ;যেমন করে তোমরা ভেবে থাকো-
ঠিক তেমন করে।কিন্তু ফানালিল্লায় লীন হয়ে যাওয়া 
মানবশিশু আমি-যে মৃত্যুহীন-ত্রিকালজ্ঞের অন্দরে 
যার নিত্য অধিবাস কোন মৃত্যুরে তোমরা সংজ্ঞায় 
সংজ্ঞায়িত কর  সে  যখন কালশূণ্য মানশূণ্য অদৃশ্য
 দেহধারী আদেশ। 
১৯.১০.২০১৯  

মৃত্যুবিষয়ক মুক্তপদ্য

মৃত্যুবিষয়ক মুক্তপদ্য

অতপর তোমার সকাল সন্ধ্যায় আমার নিত্য আবির্ভাব ;
তোমার আঁচলে সিঁদুরে সৌরভে আমার নিত্য বিচরণ 
বিকশিত হবে ;ক্রমাগত ঘূর্ণায়মান নক্ষত্রের মত কোটি
 আলোকবর্ষ দূর থেকে আসা অদৃশ্য আভা এক আমি।
রঞ্জনরশ্মির মত তোমার মাংশে , হাঁড়ে, কাম ও রিপুর 
উৎসমূলে আমি নিত্য জাগ্রত সত্ত্বা, জেগে রবো। তুমি 
অযথা বিরহী বালিকার মত চোখের দেখায় সুখ খোঁজ 
আর নষ্ট কর অর্থহীন কারণে অমেয় সময়। আমার 
অদৃশ্য হওয়া মানে অন্তর্ধান নয়। কোষে ঘূর্ণায়মান 
ইলেকট্রনের মতো কোন এক সত্ত্বা -আমি -আমরা-তুমি-
সব মানবীয় রুপ ব্রক্ষ্মাণ্ডের অনন্য ইলেকট্রনিক 
উপাদান।চিরন্তন ক্ষয় এযে অসাধ্য সাধন ;কল্পনার 
অতীত - মৃত্যুর সময় নাই - নাই স্থান ;শুধু আপেক্ষিক
 দৃশ্যমানতায় আমরা একে অপরের কাছাকাছি সারাক্ষণ। 

০৩.০৯.২০১৯

Printfriendly

Featured Post

জাতি নির্মাণে গল্পযোগ

  জাতি নির্মাণে গল্পযোগ   ১ ।   মানুষ সামাজিক জীব।তারা পরিবার গঠন করে।তারপর সে-ই পরিবার একটি গোষ্ঠীতে রুপান্তরিত হয় এবং ধীরে ধীরে একাধিক গোষ...