শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

মৃত্যুর সংজ্ঞা

মৃত্যুর সংজ্ঞা

আমারা পরষ্পরে প্রেমপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালাম 
আর মানুষ নাম দিলো ভালোবাসা।আমরা
 বাৎস্যায়নের জগতে বিহারে গিয়ে ছন্দিত 
কামের স্বরুপ তালাসে প্রেমকে নিবেদন করলাম;
 আমাদের যুগলজন্ম হলো। অমরাবতীর অঙ্গনে
 ঈশ্বরকে সহাস্য  দণ্ডায়মান দর্শন করলাম। 
অন্তর্ধান না হলে নতুন করে প্রকাশের প্রশ্ন 
আসবে কেন? বিনির্মানের ধাপে ধাপে অজস্রবার 
জন্ম হলো আমাদের ;অগণিত মৃত্যু যদি না হবে   
নব নব জন্মের ইতিহাস রচিত হবে কোন পথে? 
নতুন জন্মের উল্লাসে নিঃশব্দে ক্ষয়ে যায় 
ঊনুর্ণাভের ভরাট বুক আর পাজর, বাতাসে 
উড়ে যায় তার অষ্টপদ অনায়াসে। এ কী মৃত্যু, 
না কী  নতুন অস্তিত্বে প্রত্যর্পণ?  না কী নতুন জন্ম?  



আমার অপসৃয়মান ছায়াকে তোমরা নাম দিলে মৃত্যু

 আমার আপেক্ষিক  দৃশ্যমানতাকেই তোমরা জীবন 
 বলতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে। দ্রবণের দ্রাবকের মতো 
ধূম্রবৎ আমার অদৃশ্য রুপ তোমাদের কাছে মৃত্যু আর 
নিঃশেষ;কিন্তু 'আমি'তো আছি অখণ্ডিত মণ্ডলাকারসম
জগতব্যপী বিরাজিত অনাদি  অনন্ত সত্ত্বা। এতএব 
আমার ছায়ার মৃত্যুর বার্তা তোমরা অনায়াসে প্রচার 
করে যেতে পারো ;যেমন করে তোমরা ভেবে থাকো-
ঠিক তেমন করে।কিন্তু ফানালিল্লায় লীন হয়ে যাওয়া 
মানবশিশু আমি-যে মৃত্যুহীন-ত্রিকালজ্ঞের অন্দরে 
যার নিত্য অধিবাস কোন মৃত্যুরে তোমরা সংজ্ঞায় 
সংজ্ঞায়িত কর  সে  যখন কালশূণ্য মানশূণ্য অদৃশ্য
 দেহধারী আদেশ। 
১৯.১০.২০১৯  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Printfriendly

Featured Post

জাতি নির্মাণে গল্পযোগ

  জাতি নির্মাণে গল্পযোগ   ১ ।   মানুষ সামাজিক জীব।তারা পরিবার গঠন করে।তারপর সে-ই পরিবার একটি গোষ্ঠীতে রুপান্তরিত হয় এবং ধীরে ধীরে একাধিক গোষ...