শ্রেণি পঠনপাঠনে সময় ও ক্লাস বণ্টন সংকট
শ্রেণি পঠনপাঠনে সর্বোচ্চ সাফল্য
নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষাবিদগণ বিবিধ পদক্ষেপ নেন।এরই অংশ হিসেবে ২০১২ সালে
প্রকাশিত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষকদের জন্য
নির্দেশনা সমৃদ্ধ পুস্তক প্রেরণ করে;যেখানে সুনির্দিষ্ট পিরিয়ড
এবং সময় উল্লেখ আছে।প্রথম পিরিয়ডের জন্য এক ঘণ্টা এবং বাকি পাঁচটি পিরিয়ডের জন্য
পঞ্চাশ মিনিট করে বরাদ্ধ দেয়া হয়।এরই সূত্র ধরে বিগত বছরের নভেম্বর মাসে শিক্ষকের
জন্য প্রতি বিষয়ের শিক্ষক গাইড প্রদান করা হয়।এতে পাঠপরিকল্পাসহ প্রয়োজনীয়
নির্দেশনা দেয়া হয়।
দীর্ঘসময় গেলেও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস রুটিন অনুসরণ করা হচ্ছেনা।তবে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এখানে সমস্যা হলঃ
পাঠপরিকল্পনার সাথে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার সমন্বয়হীনতা।পাঠপরিকল্পনায়
প্রতি বিষয়ের জন্য যে সময় উল্লেখিত ছিল সে অনুযায়ী শ্রেণি পাঠদান অসম্ভব
হচ্ছে।অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নির্দেশিত ছয় পিরিয়ডে
শ্রেণি পাঠদান করা হচ্ছে না।কারণ,ক্লাস শিডিউলে কোথায়ও
সাত ঘণ্টা, কোথায়ও আট ঘণ্টা হিসেবে চলছে ।ফলে বরাদ্ধকৃত পঞ্চাশ
মিনিটের পরিবর্তে ত্রিশ, চল্লিশ বা পঁয়তাল্লিশ মিনিটে নেমে আসে।অন্যদিকে পঠিত বিষয় বণ্টনে বৈচিত্র আনয়ন অসম্ভব হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে সরকারের
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকারি প্রধান শিক্ষকগণের অনেকে এই পদ্ধতিতে যৌক্তিকতা
খুঁজে পাচ্ছেন না।এই জটিলতায় শিক্ষামন্ত্রণালয় কতৃক প্রেরিত পাঠপরিকল্পনা ব্যবহার অসম্ভব হচ্ছে।যদিও
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত নির্দেশনা অনুসরণ করলে বরাদ্ধকৃত সময়ের অধিকতর কার্যকর ব্যবহার করা সম্ভব হয় এবং অপচয়
রোধ হয়।
যেহেতু সরকারি নির্দেশ ও নির্দেশনা অদ্যাবধি
বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না,সেহেতু সরকারের উদ্দেশ্য আলোর মুখ দেখছে না।আমরা মনে করি এই সংকট উত্তরণে নমুনা
ক্লাস রুটিন সরবরাহ করা উচিত।পাশাপাশি প্রশাসনিক পদে
কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণে এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করা উচিত।
--
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন