মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০২০

মহামিলনের পরে নেতা যা বলেছিলেন

 মহামিলনের পরে নেতা যা বলেছিলেন 

বঙ্গবন্ধু লন্ডন হয়ে ভারতে অবতরণ করেন। ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি জনসমাগম হয় সেদিন। তিনি ভাষণ দেন ; তিনি দরদী ভারতনেতা ইন্দিরাজী   আর ভারতবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সাথে সাথে তার সদ্য স্বাধীন দেশ কোন নীতিতে চলবে সে নির্দেশনাও দেন।তারপর ঢাকায় আসেন ;সেখানেও বক্তব্য রাখেন। অগণিত  মানুষের মিলন মেলায় তাঁর আবেগের পূর্ণ প্রকাশ ঘটেছে।  কবির ভাষায় সে কথামালার প্রকাশ এভাবে হয়েছিল।
কবিতাঃ মহামিলনের পরে নেতা যা বলেছিলেন    কবিঃগোলাম কিবরিয়া
আবৃত্তিঃ@ Shahida Mukta

আমি ফিরিয়াছি তোমার পলির আদর মাখানো রঙে
আমি ফিরিয়াছি আমার ক্রন্দসী পোড়ানো মাটির বঙ্গে
একদা, আমার বাংলায় মেলেছিল থাবা  পাক ঘাতকের  হাত
আজকে বাংলার কাটিয়া গিয়াছে দুই দশকের রাত।
আজকে আমার আজন্ম লালিত স্বপ্ন পুরনের দিন
আজকে বাংলার আকাশে বিজয় নিশান পৎ পৎ উড্ডীন।
আর কিছু পাই বা না পাই
কোন দুঃখ কোন খেদ নাই।
আমি ফিরিয়াছি আমার সাহসী কোটি বাঙালির বুকে
ভয়কে যাহারা করিয়াছে জয় মৃত্যুকে দিয়েছে রুখে। 
আমি ফিরিয়াছি  দূর্মর গতির পদ্মা-মেঘনার চরে
আমি ফিরিয়াছি তিরিশ লক্ষ শহীদ সেনার ঘরে।
আর কিছু পাই বা না পাই
কোন দুঃখ কোনো খেদ নাই।
আমি, শতবার গেছি কয়েদখানায় অভূক্ত ছিলাম কতো
তবু, আপোষ করিনি জুলুমের সাথে হইনি কখনো নত।
ফাঁসির দড়ির মুখোমুখি হয়ে বলেছি উন্নত বোলে
আমার লাশটি পাঠাইয়া দিও বাংলা মায়ের কোলে।
আজাদীর ইতিহাসে লেখা রবে মোর আত্মবলিদান
লক্ষ বাঙালির শোনিত ধারায় মিশে যাবে এই প্রাণ।
এইটুকু রবে সান্ত্বনা ও সুখ আর কিছু নাহি পাই
কোনো কষ্ট কোন অসন্তোষ কোনো পিছুটান নাই।

এবার, গণতন্ত্রের ছায়ায় সৃষ্টি  হবে সমাজতন্ত্রের ভীত
লুটেরার দিন শেষ হয়ে গ্যাছে বুঝে নিক দাম্ভিক ;
ধর্মে-বর্ণে ভাগ হবে না সকলেই বাংলার সন্তান
সাম্যবাদে এক রবে মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান।
বাঙালি চাকমা মুরং খাসিয়া সাঁওতাল মনিপুরী
সমঅধিকারে পাশাপাশি রবে থাকবেনা  বাহাদুরি।
কৃষক শ্রমিক তাঁতি জেলে সকলের  রক্ত ও ঘামে
বিদূরিত  হবে সকল অভাব নবতর সংগ্রামে ।
যেদিন বাংলা মাথা উচু করে দাঁড়াবে পৃথিবীমাঝে
সেদিন আমার স্বপ্নের সারথি থামবে নতুন কাজে।
আর কিছু পাই বা না পাই
কোন দুঃখ কোন খেদ নেই।
২৩. ০১.২০২০




রবিবার, ১ মার্চ, ২০২০

প্রিয় অবাঞ্চিত কেশগুচ্ছ সমাচার

  প্রিয় অবাঞ্চিত কেশগুচ্ছ সমাচার 


তুমি অবাঞ্চিত কেশগুচ্ছ লালন করছো বস্রতলে, অথচ পুত - পবিত্র থাকার শপথে  আলিঙ্গনে আবদ্ধ হতে চাও। এমন দ্বৈত আচরণে কেমন করে তোমার সয়ে যায়। আমি বুঝতে পারিনা,তুমিও কেমন বদলে গেলে ;অথচ তোমাতেই তো কিছুটা ভরসা ছিলো।তোমার সিদ্ধছায়ায় ঘুরবো-মুক্তবিবেক,বিশুদ্ধ বাতাশ পাবো ;তাই  রক্তে উচ্ছ্বাস আনে  নৃত্যরত কিন্নরীদলে। কিন্তু  বগলদাবা ছোরাধারী গুপ্তঘাতকের মতোই তুমি নিশ্চুপ হয়ে আছো  ; অবাঞ্চিত কেশগুচ্ছ উপড়ে ফেলায় তোমার কেনো এতো দ্বিধা? কেনো এতো ভয়?  তবেতো আমি চন্দন চর্চিত নব নন্দনে এবার   অভিসারে যেতেই হবে ।
০১.০৩.২০২০

Printfriendly

Featured Post

জাতি নির্মাণে গল্পযোগ

  জাতি নির্মাণে গল্পযোগ   ১ ।   মানুষ সামাজিক জীব।তারা পরিবার গঠন করে।তারপর সে-ই পরিবার একটি গোষ্ঠীতে রুপান্তরিত হয় এবং ধীরে ধীরে একাধিক গোষ...