বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭

অষ্টম শ্রেণিতে বিকেন্দ্রীভূত মূল্যায়ন প্রসঙ্গে

অষ্টম শ্রেণিতে  বিকেন্দ্রীভূত মূল্যায়ন প্রসঙ্গে

বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য চাই গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ।এই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ সরকার বহুবিদ পদক্ষেপ নিয়েছে।এই সবের সফলতা এবং ব্যর্থতা আছে কিন্তু সরকারের সদিচ্ছা সম্পর্কে ঐক্যমত আছে।এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে ধীরে ধীরে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা,প্রশাসন এবং মূল্যায়ন পদ্ধতিতে নানাবিধ পরিবর্তন আনা হয়েছে।শিক্ষার প্রতিটি স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নের বিষয়ে প্রতিটি সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করছে।আমাদের আজকের প্রসঙ্গ হল:অষ্টম শ্রেণির চূড়ান্ত মূল্যায়নকে ঘিরে।বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষণ ও মূল্যায়নে একটি স্থিতিশীল অবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।বিশেষ করে পি এস সি পরীক্ষায় চূড়ান্ত মূল্যায়নে আলাদাভাবে স্কলারশিপের জন্য পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না।
একসময়ে পঞ্চম শ্রেণিতে বিদ্যালয় ভিত্তিক পরীক্ষা নেয়া হত ;আবার স্কলারশিপের জন্য আলাদাভাবে একটি পরীক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হত।বর্তমানে সার্বজনীন পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।কিন্তু অষ্টম শ্রেণিতে চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য শিক্ষা বোর্ড়ের ছায়ায় আশ্রয় নেয়া হচ্ছে;অর্থাৎ কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে।এটি শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের অন্তরায়;এইক্ষেত্রে আমরা যে কারণগুলো খুঁজে পাই,সেগুলো হল:
           বোর্ডের সাথে সমন্বয় করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।প্রায় একমাস শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কার্যক্রমের বাইরে থাকে।পাঁচ বছরে দু'টো পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে বিদ্যালয়গুলো অতিরিক্ত অফিসিয়াল কাজকর্মে অর্থ ও সময় ব্যয় করতে হয়। সাথে সাথে আর্থিকভাবেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।বোর্ডের  কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হলেও শিক্ষার্থীদের সমুদয় ডুকুমেন্টের হার্ডকপি সরাসরি জমা দেয়া আবশ্যিক।ফলে,অলিখিত নিয়মের ফাঁদে পড়ে প্রতিটি স্কুলকেই সুনির্দিষ্ট টাকা দিতে হয়;যদিও এর জন্য রশিদ দেয়া হয় না।এই ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করাও অর্থহীন ;কারণ,এতে জমাকৃত ফাইল গায়েব হওয়ার সমুদয় সম্ভাবনা থাকে।ছাত্র-ছাত্রীদের রেজিষ্ট্রেসন,ফিরম ফিল আপসহ কার্যক্রমে শিক্ষার্থী পিছু উপরি ব্যয় করতে হয়। তবে আশার কথা এই যে বর্তমানে সৃজনশীল মানসিকতাসম্পন্ন  কর্মকর্তাগণ শিক্ষাবোর্ডে নিয়োগপ্রাপ্ত হচ্ছেন;যারা ইতিবাচক পরিবর্তনে সাহসী পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
  অষ্টম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ায়  শিক্ষার্থীদের প্রায় দু'মাস সময় নষ্ট হচ্ছে।এই সময়টি তারা কিভাবে উপভোগ করবে তার জন্য কোন নির্দেশনা নেই।
        অষ্টম শ্রেণিতে যদি পঞ্চম শ্রেণির মত উপজেলা ভিত্তিক মূল্যায়নের কৌশল বাস্তবায়ন  করা যায় তা'হলে তা অধিকতর কল্যাণকর হবে বলে আমি মনে করি।এই কার্যক্রমে প্রয়োজনে প্রাথমিক স্তরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে।তবে শিক্ষক সমাজের নৈতিক মূল্যবোধ সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়া এর সাফল্যের অন্যতম পূর্বশর্ত। অবশ্যই বহু প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে যেগুলো ইতোমধ্যে অষ্টম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।সাথে সাথে সেমিস্টার পদ্ধতির প্রচলন করা এখন সময়ের দাবি।এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত।
          শিক্ষাবোর্ড চাইলে সার্টিফিকেট ও অন্যান্য কাগজপত্রের আইনানুগ অভিভাবক থাকতে পারে।কিন্তু বাদবাকি কাজকর্ম উপজেলা পর্যায়ে সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।আমরা জানি, এইক্ষেত্রে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।বিশেষ করে, শিক্ষার্থী মূল্যায়নে সকল উপজেলায় বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রাপ্তিতে সংকট হতে পারে।তবে বর্তমানে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগে বাধ্যবাধকতা থাকায় অচিরেই এই সংকট থেকে মুক্তি আসবে।
নিয়মে আনয়নের জন্য  আমরা একদিন উর্ধ্বগামী হিয়েছিলাম।আজ উন্নয়নের জন্য  বিকেন্দ্রীভূত করা সময়ের দাবি।আশাকরি আমাদের সাথে শিক্ষাবিদগণ এবং সরকার একমত পোষণ করবেন এবং এই প্রস্তাবের যৌক্তিকতা অনুধাবনে সমর্থ হবেন।শিক্ষা-উন্নয়ন এবং শিক্ষায় উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষা পদ্ধতি এবং প্রশাসনের পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা  অনুভব করবেন।12/27/17


সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

ঘুষ গ্রহণের বৈধতা বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বচন

 ঘুষ গ্রহণের বৈধতা বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বচন

    ঘুষগ্রহণ সম্পর্কে আমার ব্লগে আমি বেশকিছু কলাম লিখেছিলাম।ঘুষখোরদের কারণে  মানুষ যে কী রকম হয়রানির মধ্যদিয়ে কালাতিপাত করছে তা শব্দে বুঝানো যাবে না।গতকাল বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঘুষ সম্পর্কে এক ঐতিহাসিক বানী দিয়েছেন।শাসকশ্রেণীর অতীত ইতিহাস ঘাটলে এরকম দ্বিতীয় কোন ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে না।

প্রথমে আমি বিশ্বাস করিনি যে শিক্ষামন্ত্রী ঘুষ প্রহণের বিষয়ে সহনীয় মাত্রার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।অবশেষে দৈনিক শিক্ষায় আপলোড করা ভিডিও দেখে নিশ্চিত হলাম।শিক্ষাপ্রশাসনে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি সহনীয় মাত্রায় ঘুষ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।তাহলে কী তিনি ঘুষ গ্রহণকে বৈধতা দিচ্ছেন?অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন,যারা ঘুষ গ্রহণ ও প্রদানকে মনে প্রাণে ঘৃণা করেন।শিক্ষামন্ত্রীর উল্লিখিত বক্তৃতা প্রকাশিত হওয়ার পর আমার এক ছোট ভাই যিনি একজন প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা এবং  স্পিড মানি বা ঘুষ কোনটিই গ্রহণ করেন না।তিনি খুব হতাশ  হলেন।তিনি বললেন,সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী যদি এমনতর কথা বলেন তাহলে আমাদের মত চাকুরীজীবীগণ আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বে।অন্যদিকে শিক্ষাবিভাগে যারা সৎ হিসেবে স্বীকৃত তারা একঘরে হয়ে পড়বে।
এখন অন্য প্রসঙ্গে আসি।শিক্ষামন্ত্রী এই উক্তির মধ্যদিয়ে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছেন।সুতরাং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উচিত তাকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে সরিয়ে দেয়া।অন্যথায় তার এই বক্তব্য সরকার বিরোধী আন্দোলনে ব্যবহৃত হবে।
শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় হয়তো স্পিড মানির গতিময়তার বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে  চেয়েছিলেন এবং তিনি জানেন যে এটি বন্ধ করা অসম্ভব।তিনিও কি প্রচণ্ড হতাশা থেকেই এমন কথা বলেছেন?হয়তো তাই।
আমার পরিচিত জনৈক শিক্ষক বলেন,শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে অন্যায্যভাবে নিরীহ শিক্ষকদের অভিযুক্ত করেছেন।এটি আল্লাহও অপছন্দ করেছেন।ফলে আজ হয়তো তিনি নিজের তীরেই বিদ্ধ হিয়েছেন।এদিকে সামাজিক মাধ্যমে সাধারণ জনগণ ঝড় তুলেছে।অনেকে তার এমনতর অভিমতকে অপরাধ হিসেবে গন্য করছেন।তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্থক্ষেপ কামনা করছেন।এই বিষয়ে বিচার বিভাগের সুয়োমোটো রুল জারির আবেদন করছেন।আমরা এমনতর  বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আসুন, আমরা ঘুষমুক্ত অফিসের জন্য দোয়া করি।দোয়া করি একদল শাসকগোষ্ঠীর জন্য ;  যারা আমাদের ভাল-মন্দ বুঝবে,সুখ-দুখ  দেখবে যারা নিজেরাও ঘুষ খাবেনাএবং ঘুষখোরের পক্ষে কথা বলবেনা।  
দৈনিক শিক্ষায় প্রকাশিত ভিডিও লিংক:
http://m.dainikshiksha.com/%e0%a6%98%e0%a7%81%e0%a6%b7-%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%8d/131489/
                                  ----


মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

বাংলাদেশে রাজনীতিতে পড়ালেখা


বাংলাদেশে রাজনীতিতে পড়ালেখা

বাংলাদেশে রাজনীতিতে বর্তমানে পড়ালেখা একটি গুরুত্বহীন বিষয়। প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের প্রায় শতভাগই নিজ নিজ দলের রাজনৈতিক মেনিপেস্টা সম্পর্কে অজ্ঞ।ফলে দলের প্রতিষ্ঠাতা আর মরহুম নেতার নামে কিছু শব্দ আর বাক্য দিয়েই তাদের রাজনীতির বোলচাল।পরিবর্তনশীল বিশ্বব্যবস্থায় ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে সঠিক  নেতৃত্ব প্রদান করা অসম্ভব। আজকে আমরা রাজনীতির মাঠে জ্ঞান ও কর্মের প্রতিযোগিতায় কারা কী করছে এবং কী করা উচিত সে বিষয়ে  আলোচনা করব।
  বাংলাদেশে সর্ববৃহ রাজনৈতিক দল হচ্ছে আওয়ামীলীগ এবং বি এন পি ।বর্তমানে সুযোগসন্ধানীরা ক্ষমতাসীন  দলে ভীড় করেছে।যখন বি এন পি ক্ষমতায় ছিল তখন সেইদলে দলে দলে নতুন নতুন মুখের আভির্ভাব ঘটেছিল।  সুযোগসন্ধানীদের অনুপ্রবেশের  বিষয়টি যখন যেই দল ক্ষমতায় থাকে সেই   দলের নীতি নির্ধারকদের মুখ থেকেও মাঝে মাঝে শুনা যায়।শুধুমাত্র বামধারার দু'একটি দল এবং ইসলামি ভাবধারানুসারী দলে ব্যতিক্রম দেখা যায়।এদের আদর্শ, উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য সম্পর্কে এরা স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে।ফলে তারা মাথায় নগণ্য হলেও মাথাওয়ালা;সমাজের, রাষ্ট্রের বিভিন্ন সমস্যা ও সংকটে যৌক্তিক অভিমত প্রকাশে সমর্থ।অন্যদিকে সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দলের কর্মী ও সমর্থকেরা নিজ দলের রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডকেও বিনাবাক্যে সমর্থন দিয়ে থাকে;এটি জাতির জন্য অপমান ও ভয়ের কারণ।রাজনীতি যদি দেশ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে হয় তবে এমন অবস্থা থেকে মুক্তি আবশ্যক।
মাঝে মাঝে মাঠে ময়দানে নতুন নেতাদের বক্তৃতা শোনার সুযোগ হয়।সন্তুষ্ট হওয়া তো দূরে থাক,তাদের ভুল উচ্চারণে বাংলা শুনে হতাশ হতে হয়।অন্যদিকে যুক্তিহীনতা আর তথ্যবিকৃতি স্বাভাবিক বিষয় দেখা যায়।তাদের অধিকাংশ দলের নীতিমালা,সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়।এমতাবস্থায় তাদের মুখের জোর কিছুটা থাকলেও বুকের জোর থাকেনা।
উঠতি নেতৃত্বের জ্ঞানগর্ব উচ্চারণ ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ অবস্থাকে নিশ্চিত করবে।কিন্তু এরা তো পড়ালেখা জানেনা।এখন প্রশ্ন:এই অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কী? সংক্ষেপে বলতে গেলে বলতে হয়, এদেরকে পড়া লেখা করতে হবে।বুঝাতে হবে ,শুধুমাত্র গলাবাজিতে মুক্তি আসবে না;দলের স্থায়ী নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই জ্ঞান অর্জনে ব্রতী হতে হবে।এতে দলসমূহ বিভিন্নভাবে উপকৃত হবে।
যদি তারা পড়ালেখা জানে তাহলে কী ধরণের  সুবিধে হবে তা আলোচনা করা যেতে পারে।
প্রথমত যারা দল করবে তারা জেনেশুনেই আসবে এবং দলের প্রচারে যুক্তি উপস্থাপন করতে সমর্থ হবে।এরা নেতৃত্বের বিপক্ষে সুযোগ সন্ধানী হিসেবে আভির্ভূত হবেনা।কারণ,এর মধ্যদিয়ে দলে গুরুমূখী শিক্ষাপদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হবে।অন্যদিকে দেশের সংকটে দলের অন্ধ আনুগত্য করবে না।
রাজনৈতিক দলগুলো এজন্য প্রয়োজনীয় পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করতে পারে।সপ্তাহিক ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারে এবং এরই ভিত্তিতে মূল্যায়ণের পদক্ষেপ নিতে পারে।যারা আচার আচরণ, মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফলাফল করবে তারা নেতা নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সুযোগ পাবে।সাথে সাথে যারা সমাজকর্মে বিশেষ ভূমিকা রাখবে তাদেরকে দলীয় দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচিত করা যেতে পারে।এর মধ্যদিয়ে দলের অন্তর্গত ভীত শক্তিশালী হবে ;এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হারালেও নির্ভয়ে এগুতে পারবে।
দলীয় নেতা কর্মীদের জন্য প্রণীত পাঠ্যসূচিতে প্রথমত বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য,সম্পদ,প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা  সম্পর্কে তথ্যপূর্ণ বিষয় থাকবে।দ্বিতীয়ত আন্তর্জাতিক বিষয়াদি সম্পর্কে পাঠ্যসূচি থাকবে।তৃতীয়ত ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কেও দলীয় কর্মপ্রক্রিয়ার উল্লেখ থাকবে।এরই ভিত্তিতে পরীক্ষার আয়োজন করবে।রাজনৈতিক দলসমূহের প্রোপাগান্ডামূলক আচরণ প্রায়ই দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।এইভাবে স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অগ্রসর হলে তারা চাইলেই কর্মীদের অন্যায্য কাজে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হবে।
 প্রাথমিকভাবে নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে দেখবাল করার দায়িত্ব নিতে পারে।প্রতিটি দল তাদের কর্মী ও নেতাদের জন্য প্রণীত সিলেবাস ও সুনির্দিষ্ট পুস্তকাদি কমিশনে জমা দিতে হবে।অন্যদিকে যেসকল প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা নির্বাচিত হবে,জনগণকে কাছে টানবে তাদেরকে  প্রথমে অবশ্যই সে সকল প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করতে হবে।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে জ্ঞানী এবং দূরদর্শী নেতা প্রতিটি গ্রামে, পাড়ায় দরকার।একমাত্র একটি স্বীকৃত  মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা সম্ভব।আশাকরি এই বিষয়টি নীতিনির্ধারকগণ বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন।12/5/17
                                  -----


Printfriendly

Featured Post

জাতি নির্মাণে গল্পযোগ

  জাতি নির্মাণে গল্পযোগ   ১ ।   মানুষ সামাজিক জীব।তারা পরিবার গঠন করে।তারপর সে-ই পরিবার একটি গোষ্ঠীতে রুপান্তরিত হয় এবং ধীরে ধীরে একাধিক গোষ...