মহাজোট আবার ভোট
চাইবার অধিকার
রাখে কী?
বাংলাদেশের
গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির
বর্তমান অবস্থা
সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ
প্রক্রিয়াকে সমর্থন
করেনা।বিরোধী
দলসমূহ দলীয় সরকারের
অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের
সম্ভাবনাকে একেবারেই
উড়িয়ে দিয়েছেন।তবুও
আগামীর ভোট নিয়ে
সরকারি এবং বিরোধী
শিবিরে প্রস্তুতি
চলছে।সর্বশেষ সংসদ
নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।যদিও
ক্ষমতাসীন দল একে
সরকার গঠনের যৌক্তিক
প্রক্রিয়ার অনিবার্য
পরিণতি বলে
অভিহিত করেন।এখন
আবার ভোটের কাল
আসছে। সরকার বিরোধীদের
কট্টর সমালোচনা
অহরহ চলছে।এমতাবস্থায়
ক্ষমতাসীন
সরকার পুনঃরায়
ভোট চাইবার অধিকার
রাখে কী না তা নিয়ে
অহরহ প্রশ্ন
উঠছে।আসুন, আমরা বিষয়টি আলোচনা করি।মহাজোট সরকারের শক্তিশালী শরিক আওয়ামীলীগ এবং তাদের শরিকদলসমূহ ভোটের বাজারে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি নিচ্ছে।এজন্য তারা তাদের যোগ্যতা এবং পুনরায় ক্ষমতা পাওয়ার যৌক্তিক কারণ উপস্থাপন করতে পারে।এগুলো হল:
১. বঙ্গবন্ধুর
হত্যার বিচার:আমার
একজন মামা আছেন,তিনি
একসময় আওয়ামীলীগের
উপর খুব ক্ষুব্ধ
ছিলেন।তিনি বলতেন,শেখ হাসিনা মদীনায়
গিয়ে বঙ্গবন্ধুর
বিচার করার ওয়াদা
করেছে।এটা আওয়ামীলীগের
প্রথম বার ক্ষমতা
গ্রহণের সময়। কিন্তু
তিনি বিচার করেননি।অতএব
তিনি ক্ষমতা হারান।যদি
তিনি বঙ্গবন্ধুর
হত্যার বিচার যথাযথভাবে
শুরু করতেন তাহলে
তিনি ক্ষমতা হারাতেন
না।আওয়ামীলীগ
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায়
এসে সে ভুল করেনি।অতএব
শেখ হাসিনা তাঁর
প্রতিশ্রুতি
রক্ষা করেছেন।
যারা বঙ্গবন্ধুর
নেতৃত্ব দেখেছেন,
তারা একে আওয়ামীলীগের
সেরা সফলতা হিসেবে
বিবেচনা করেন।
২.মানবতাবিরোধী
অপরাধের বিচার:মহাজোট
সরকারের অন্যতম
কাজ হচ্ছে মানবতাবিরোধী
অপরাধের বিচারকাজ
সফলভাবে চালয়ে
যাওয়া ;এবং
এর মাধ্যমে জাতিতে
কলঙ্ক মুক্ত করা।যেহেতু
এরকম বিচারকাজ
দেশে একেবারেই
নতুন ছিল,অভিজ্ঞতাও
ছিলনা;ফলে
প্রক্রিয়াগত জটিলতা
দেখা দিয়েছিল।এটা
সত্য যে,এর
পরেও অত্যন্ত ধীর
গতিতে বাস্তবায়িত
এই বিচারকাজ বিশ্ববাসীর
আগ্রহের বিষয় ছিল;বর্তমানেও আছে।যে
কারণে বিশ্বের
আরও অনেক স্থানে
দেশিয় আইনে এরকম
অপরাধের বিচার
কাজ করার আগ্রহ
দেখা গেছে।বঙ্গবন্ধুর
হত্যার বিচারের
চেয়েও এটি কঠিনতর
বিচারকার্য।এটা
সত্য যে বিরুদ্ধবাদীগণ
এই বিচার প্রক্রিয়া,উদ্দেশ্য
এবং এর স্বচ্চতা
সম্পর্কে ভিন্নমত
বিভিন্নভাবে প্রকাশ
করছেন।এক্ষেত্রে
স্বাধীনতার স্বপক্ষ
শক্তি বরাবরই বিচার
এবং এর রায়ের বাস্তবায়ন
নিশ্চিত করার জন্য
সোচ্চার ছিল;এখনও আছে।মহাজোট
সরকারের শক্তিশালী
অংশীদার আওয়ামীলীগ
জনমত এবং সংবাদ
মাধ্যমকে সুকৌশলে
তাদের পক্ষে ব্যবহার
করতে সক্ষম হয়েছেন।
৩.রাজনৈতিক
সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ
: বাংলাদেশের রাজনৈতিক
সংস্কৃতির অন্যতম
মন্দ দিক হচ্ছে
রাজনৈতিক সন্ত্রাস।বিরোধী
শিবিরে থাকা কালীন
সময়ে ইচ্ছেমত ধর্মঘট
ডাকা আর ধ্বংসাত্মক
কর্মকাণ্ড চালানো
নিয়ম হয়ে গিয়েছে।
। দাবী আদায়ের
লক্ষ্যে বিএনপি
এবং তার শরিক দল
কতৃক যানবাহনে
পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ
করা,সরকারি
সম্পত্তি ধ্বংস
করার সকল প্রচেষ্টা
শক্ত হাতে থামিয়ে
দেয়।যদিও বিপক্ষ
দল এসকল কাজে ক্ষমতাসীন
দলের হাত আছে বলে
অভিযোগ করে।কিন্তু
যাদের ছত্রছায়ায়
বাংলা ভাইয়ের তাণ্ডব
আর দেশব্যাপী বোমাহামলা
হয়েছিল,তাদের
দাবী বাজার পায়নি।
৪.শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
হানাহানি নিয়ন্ত্রণ:মহাজোট
সরকারের অন্যতম
সাফল্য হল উচ্চশিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে সেশনজট
শূণ্যের ঘরে নামিয়ে
আনা।বর্তমানে
প্রায় সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে
একাডেমিক ক্যালেন্ডারের
শতভাগ বাস্তবায়ন
ঘটছে।বিচ্ছিন্ন
ঘটনা ছাড়া বড়ধরণের
সংঘাত এখন পর্যন্ত
হয়নি।অন্যদিকে
মারামারি, খুনাখুনির
ঘটনাও এমন পর্যায়ে
পৌঁছেনি যে কারণে
বিশ্ববিদ্যালয়
দীর্ঘকালের জন্য
বন্ধ রাখতে হয়েছিল।আমার
পরিচিত অন্তত দু'জন ছাত্র যারা
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে
অধ্যয়নরত তারা
তাদের বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পর্কে ইতিবাচক
অভিমত প্রদান করেছে।তাদের
মনে করে, "বর্তমানে
দলবাজি বা
মাস্তানি নেই বললেই
চলে। আমাদের তিন
বছরের বিশ্ববিদ্যালয়
জীবনে ছাত্রনেতাদের
সহযোগিতা দেখেছি;জোর-জবরদস্তি
করে মিছিলে নেয়া
বা পরীক্ষার সময়ে
ডিস্টার্ব করার
সংস্কৃতি এখন নেই
"এদের একজন
বলল।
তবে
বিরুদ্ধবাদীরা
অবশ্যই বলবেন,ভোটার বিহীন
নির্বাচনের মাধ্যমে
আসায় তারা কোন
বিশ্ববিদ্যালয়ে
নির্বাচন দেয়নি।।কারণ,বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের
বিশ্বাস করা যায়
না।কিন্তু প্রায়
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের
ছাত্রসংসদের বরাদ্দকৃত
অর্থ ভাগযোগ করে
সাবাড় করেছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে
সরকারের সবচেয়ে
সাহসী সিদ্ধান্ত
হচ্ছে :প্রাথমিক শিক্ষাকে
শতভাগ সরকারের
অধীনে নিয়ে আসা।মাধ্যমিক
শিক্ষার উন্নয়নে
সরকার বিভিন্নমুখী
পদক্ষেপ নিয়েছে।কিন্তু
এখনও শিক্ষাক্ষেত্রে
বৈষম্য প্রকট।
৬.রোহিঙ্গা
সমস্যায় প্রজ্ঞাপূর্ণ
সিদ্ধান্ত: সরকারের
শেষ সময়ে রোহিঙ্গা
সমস্যা বড় লধরণের
সংকটের সৃষ্টি
করেছে।তবে এক্ষেত্রে
সরকারের পদক্ষেপে
প্রজ্ঞার পরিচয়
পাওয়া যায়।বিশেষকরে
প্রধানমন্ত্রীর
সিদ্ধান্তসমূহ
দেশকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র
থেকে দেশে রক্ষা
করেছে।কোনপ্রকার
উস্কানিতে সরকার
প্রভাবিত হয়নি।বলা
যায়,বাংলাদেশ
সিদ্ধান্ত গ্রহণের
ক্ষেত্রে নিজস্ব
ঘরানা সৃষ্টি করতে
সমর্থ হয়েছে।এর
মধ্য দিয়ে জাতি
হিসেবে আন্তর্জাতিক
পর্যায়ে মর্যাদার
আসন প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে।
৭.অর্থনৈতিক
অবস্থার উন্নতি:প্রশ্নবিদ্ধ
নির্বাচন হলেও
এর বিরুদ্ধে বিরোধীদল
কোনপ্রকার শক্তিশালী
আন্দোলন গড়ে তুলতে
ব্যর্থ হয়েছে।কারণ,সাধারণ জনগণ
তাদের সমর্থন দেয়নি।এর
মূল কারণ হল:দেশের
অর্থনৈতিক গতিশীলতা।হরতাল,ধর্মঘট বা ভাংচুরের
মত ঘটনা বন্ধ হওয়ায়
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
প্রত্যাশিত মাত্রায়
পৌঁছেছে। দেশের
সাধারণ মানুষের
আয় বৃদ্ধি পাওয়ার
কারণে নিত্য প্রয়োজনীয়
দ্রব্যাদির মূল্যবৃদ্ধি
সত্ত্বেও
সরকারের বিরুদ্ধে
আন্দোলন সফল হয়নি।
৮.জাতীয়
সম্মান রক্ষা:তামাম
বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ
আজ সম্মানের আসনে
অধিষ্ঠিত। বিশেষ
করে পদ্মাসেতু-
বিশ্বব্যাংক কাণ্ডে
বাংলাদেশ মাথা
নিচু করেনি এবং
নিরপরাধ প্রমাণিত
হয়েছে।অন্যদিকে
দেশের উন্নয়ন বাজেটে
বিদেশ নির্ভরতা
সম্মানজনক অবস্থানে
এসেছে।সাথে সাথে
ছিটমহল বিনিময়ে
সম্মানজনক চুক্তি
সরকারের বিদেশিক
কূটনীতিতে সাফল্যের
উদাহরণ।
৯. শেখ হাসিনার
প্রজ্ঞা:মহাজোটের
কেন্দ্রবিন্দুতে
আছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা।মাঝেমাঝে
আওয়ামীলীগের অফসাইডে
এবং অনসাইডের নেতা-কর্মীরা
শরিকদের সাথে ঝামেলাপূর্ণ আচরণ
করেন।প্রধানমন্ত্রীর
কারণে এসবে
অনৈক্য সৃষ্টি
হয়না; সেসব
শুধুমাত্র
খবরের হেডলাইনে
সীমাবদ্ধ থাকে।অন্যদিকে,বিরোধী দলের
অনেক প্রবীণ নেতা
তাঁকে যথেষ্ট প্রজ্ঞাবান
বলে স্বীকার
করেন। তার শক্তিশালী
ইমেজকে সামনে রেখে
আওয়ামীলীগ ভবিষ্যতের উন্নত
বাংলাদেশ গঠতে
তাঁর নেতৃত্বের
অনস্বীকার্যতাকে
সক্ষমতার সাথে
উপস্থাপনের সুযোগ
পাবে।অনেকে
তাঁকে জাতির ঐক্যের
প্রতীক হিসেবে
বিবেচনা করেন।
মহাজোট
সরকারের প্রধান
শরিক আওয়ামীলীগ
জোট সরকারের সাফল্যের
জন্য নিবেদিতপ্রাণ
কিছু নেতাকর্মীকে
পেয়েছে।তাদের
অনেকে সত্যিকার
অর্থে দেশপ্রেমিক
এবং সার্বজনীন
দৃষ্টিকোণ থেকে
নেতৃত্ব প্রদান
করে।এদেরকে পুঁজি
করে তারা আবারো
ক্ষমতার স্বাদ
পেতে পারে।
মহাজোট কেন আবার ভোট
চাইবার অধিকার
রাখে না
মহাজোট
সরকারের কট্টর
সমালোচক গোষ্ঠী তাদের
বিভিন্নভাবে তাদের
সমালোচনা করে থাকে।তারা
মহাজোট সরকারের
যে সকল অন্যায্য
কর্মকাণ্ডের প্রতি
নির্দেশ করে সেগুলো
হলঃ
১.অগ্রহণযোগ্য
নির্বাচন:
প্রশ্নবিদ্ধ
নির্বাচন আওয়ামীলীগের
গলার কাঁটা হয়ে
আছে।বিগত সংসদ
নির্বাচনে প্রায়
অর্ধেক সাংসদ বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
নির্বাচিত হয়েছেন।আবার
যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী
ছিল,সেখানেও ভোট
হয়নি।ক্ষমতাসীন
জোট সাংবিধানিক
বাধ্যবাধকতা দোহাই
দিয়ে পার পেয়ে
যাবার পথ খুঁজে
নিয়েছে।কিন্তু
বিরোধী শিবির এটা
মানতে রাজি নয়
বা কখনো ছিলনা।আওয়ামীলীগপন্থী
বুদ্ধিজীবীগণ
মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের মানে হচ্ছে:জনগণের
নির্বাচিত নেতা
বা সাংসদের বিরুদ্ধে
অন্ধ অজুহাত খাড়া
করানো।জনগণ যাদেরকে
নির্বাচিত করলো,তাদেরকেই অবিশ্বাস
করলো;তাদের
দ্বারা অনুষ্ঠিত
নির্বাচন দুর্নীতিযুক্ত
হবেই বলে প্রচার
করে দিল।এরা মনে
করে,জামাতে
ইসলামী সুকৌশলে
জনগণের নির্বাচিত
ব্যক্তিবর্গকে
অবিশ্বস্ত বলেই
ধরে নিল;এটা
নির্বাচিত প্রতিনিধিদের
জন্য অবমাননাকর।
যে
কারণে মহাজোট
সরকার তত্ত্বাবধায়ক
সরকার কাঠামোর
তত্ত্বই অস্বীকার
করে।
২.দুর্নীতির
বিস্তার:মাঝেমধ্যে
আওয়ামীলীগ সরকারের
মন্ত্রীদের কেউ
কেউ দুর্নীতির
বিরুদ্ধে জিহাদ
ঘোষণার কথা জনগণকে
স্মরণ করিয়ে দেন;যদিও
জনগণ এখানে আক্রান্ত
শ্রোতাদর্শক
মাত্র।সর্বত্র
দুর্নীতিবাজদের
কারণে নিরীহ মানুষ
জুলুমের শিকার
হলেও তারা কিছুই
করতে পারে না।প্রতিকার
চাইতে গেলে হয়রানি
বৃদ্ধি পাওয়ার
সমূহ সম্ভাবনা
থাকে।অন্যদিকে
রয়েছে বড় বড় দুর্নীতি
;বিশেষকরে
ব্যাংকলুট, হলমার্ক,শেয়ার মার্কেট
জালিয়াতিসহ বড়মাপের
দুর্নীতি মহাজোট
সরকারের ব্যার্থতাকে
স্পষ্ট করে
দেয়।উন্নয়নমুখী
কর্মকাণ্ডের প্রতিটি
স্তরে দুর্নীতির
উপস্থিতি লক্ষ্য
করা গেছে।এজন্য
অনেকে বলেন,মহাজোট সরকার
চুরি চামারিতে
নিজস্ব ঘরানা সৃষ্টি
করেছে।যে কারণে
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী
তাঁর সাম্প্রতিক
কালে দেয়া বক্তৃতায়
দুর্নীতি নিয়ে
বিভ্রান্তিকর
কথা বলেছেন।নিয়োগে,পরীক্ষায়,উন্নয়নকাযে
ভূমি অফিস,শিক্ষাপ্রশাসন,পুলিশ বিভাগে
দুর্নীতি
বহুক্ষেত্রে সীমা
ছাড়িয়েছে।অতি
সম্প্রতি ১৪১ জন
মাদক ব্যবসায়ী
নিয়ে যুগান্তর
পত্রিকায় সংবাদ
বেরিয়েছে।এদের
মধ্যে সিংহভাগ
ক্ষমতাসীন সরকারের
নেতা বা সক্রিয়
কর্মী। এসব মাদক
ব্যবসায়ীদের তৎপরতা
উঠতি প্রজম্মকে
ধ্বংসের মুখে ঠেলে
দিচ্ছে।আমজনতাকে
এরকম অবস্থায় রেখে
মহাজোট সরকার
পুনরায় ভোট চাইবার
অধিকার রাখেনা
বলে অনেকে মনে
করেন।
৩.পুলিশি
রাষ্ট্র কায়েম:বিরোধী
দলের নেতাগণ বরাবরই
অভিযোগ করে আসছে
যে দেশ এখন একটি
পুলিশি রাষ্ট্রের
প্রতিচ্ছবি। অনেক
ক্ষেত্রে বিরোধী
দলের নেতা কর্মীরা
সামান্য কারণে
পুলিশি নির্যাতনের
শিকার হচ্ছে।সরকারের
ইন্দনে গুম এবং
খুন হচ্ছে।ভিন্নমতকে
কৌশলে দমন করা
হচ্ছে বলে অনেকে
অভিমত দেন।
৪. শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে
ব্যর্থতা :শিক্ষাক্ষেত্রে
সরকার যুগোপযোগী
ব্যবস্থা কায়েম
করতে ব্যর্থ হয়েছে।এক্ষেত্রে
শিক্ষায় প্রত্যাশিত
গুণগত মান অর্জনের
লক্ষ্যে বিবিধ
পদক্ষেপ নিলেও
প্রত্যাশিত ফল
অর্জিত হচ্ছেনা।মূলত
প্রতিযোগিতামূলক
প্রক্রিয়ায় নিয়োগ
এবং পদোন্নতির
ব্যবস্থা কার্যকর
না হওয়ায় এজন্য
দায়ী।মাঝেমধ্যে কোন
কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে
আধিপত্য বিস্তারকে
কেন্দ্র করে নীরিহ
শিক্ষার্থীরা
নিগৃহীত হতে হয়।সরকার
দলীয় ছাত্রসংগঠনের
ডাকে সাড়া না দিলে
হলে থাকার অধিকার
হারায়।স্বাস্থ্য
সেবা এখনও সার্বজনীন
হয়নি।সরকারের
কল্যাণকর প্রচেষ্টা
সফলতা পায়নি।মেডিকেলে
ভর্তি নিয়ে জালিয়াতি
সর্বসাধারণের
নিন্দার কারণ হয়েছে।
অনেকে
জোট সরকারকে বিচার
বিভাগে অন্যায়
হস্থক্ষেপের জন্য
অভিযুক্ত করেন।সে
যাই হোক,
আওয়ামীলীগ
পন্থী বুদ্ধিজীবীগণ
সরকারের ব্যর্থতার
জন্য দলে এবং প্রশাসনে
গুপছি মেরে থাকা
বর্ণচোরাদের দায়ী
করেন।তারা মনে
করেন,এর সাথে
যুক্ত আছে দেশি
বিদেশি ষড়যন্ত্র।
প্রশাসনে লুকিয়ে
থাকা বি এন পি এবং
জামাত পন্থী কর্মকর্তারা
সরকারের বিরুদ্ধে
কাজ করে।ফলে সরকারের
সাফল্য আর সদিচ্ছা অনেক
সময় প্রশ্নবিদ্ধ
হচ্ছে।এরা মনে
করেন, অচিরেই
এসব বর্ণচোরাদের
চিহ্নিত করা সম্ভব
হবে।আর যেহেতু
আওয়ামীলীগের সাথে
অন্যদের তুলনা
অযৌক্তিক,সেহেতু
তাদের ব্যর্থতা
পুরো জাতিকে বহন
করতে হবে।অতএব,মহাজোট
সরকারে ঐক্যবদ্ধ
স্বাধীনতার স্বপক্ষ
শক্তিকে আরো শক্তহাতে
রাষ্ট্র পরিচালনা
করতে হবে। তারা
মনে করে মহাজোট
সরকার পুনরায় নির্বাচিত
হলে বাংলাদেশ উন্নত
দেশের কাতারে সামিল
হবে।সাথে সাথে
দুর্নীতির মূলোৎপাটন
করাও সম্ভব হবে।আসুন,আমরা
মহাজোটের সংকল্প
পুরনের বাস্তবতা
বিচার করি।1/10/18
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন