শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২

মৌসুমী জলসা বা ইসলামি বক্তৃতা

ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে মুসলিম সমাজ তথা সর্বসাধারণের কাছে তুলে ধরার জন্য দেশে হাজার হাজার দ্বীনি প্রতিষ্ঠান আছে।এগুলো কিছু আছে সরকারি তত্ত্বাবধানে, কিছু আছে বেসরকারি তত্ত্বাবধানে। এসকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী দীর্ঘ সময় ধরে দক্ষ শিক্ষকের তত্বাবধানে থাকেন এবং মুসলিম হিসেবে গড়ে উঠার সুযোগ পায়।মৌসুমি বক্তৃতায় মানুষের মনে দ্বীনি জঝবা সৃষ্টি হয় মাত্র।মুসলিম হিসেবে যারা নিজেদের দাবি করতে চাহেন,তাদের উচিত নিজেই কুরআন অধ্যয়ন করা,অনুধাবন করা।পবিত্র কুরআনে আমাদের কুরআন অধ্যয়ন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।এতে সুবিধা হলো, এই অধ্যয়নের মাধ্যমে আপনার ভেতর আলোকিত হবে।অন্যদিকে, কয়েক ঘণ্টার মাহফিলে বসে, শুনে আপনি সত্যকে আবিষ্কার করতে পারবেননা এবং আপনার ফজরের নামাজ কাজা হয়ে যাবে।যাদের কারণে অগণিত মানুষের ফজরের নামাজ কাজা হলো, তারাও এই দায় থেকে মুক্তি পাওয়ার আশা নেই।

এজন্য আমি মনে করি,মাদ্রাসার দক্ষ শিক্ষকের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে অগণিত ছাত্র যুবাকে মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলার শপথ নিন।ছাত্ররা জানুক,তাদের শিক্ষকগণ সৎ, কাহাকে ঘুষ দেয়না, ঘুষ খায়না,তারা মানবিক,প্রতিবেশীদের প্রতি দায়িত্বশীল ; এতেই তো সত্যিকার ইসলামি সমাজ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।বড় আয়োজন করে জলসা করার প্রয়োজন হবেনা।১৬মে,২০২২

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Printfriendly

Featured Post

জাতি নির্মাণে গল্পযোগ

  জাতি নির্মাণে গল্পযোগ   ১ ।   মানুষ সামাজিক জীব।তারা পরিবার গঠন করে।তারপর সে-ই পরিবার একটি গোষ্ঠীতে রুপান্তরিত হয় এবং ধীরে ধীরে একাধিক গোষ...