মানব শিশুর সামাজিকীকরণে মিথষ্ক্রিয়া অতি পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ একটি শব্দ।মজার বিষয় হচ্ছে এটি বিশেষ্য; এ-র বিপরীত শব্দ নেই।আমি পাচ্ছিনা।পারষ্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটা উন্নততর অবস্থায় উপনীত হওয়ার পথকে মিথষ্ক্রিয়া বলে।আমি মিথষ্ক্রিয়াকে মানুষের অভিযোজন সক্ষমতার সাথে সমানুপাতিক সম্পর্কে যুক্ত বলে মনে করি।কারণ,এই প্রক্রিয়ায় মানবজাতি তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে এবং ক্রমাগত উন্নততর অবস্থায় উপনীত হচ্ছে। কিন্তু পারষ্পরিক যোগাযোগের, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পরে যদি অবনত অবস্থায় পৌঁছে, তাহলে তাকে কী বলা হবে? এটি আমার জানা নেই।শিক্ষা বিজ্ঞানের পারিভাষিক শব্দ হিসেবে বিবেচনা করলে এটি নিসন্দেহে একটি ইতিবাচক শব্দ এবং প্রত্যাশিত।
লক্ষ্য অভিন্ন হলে কিংবা কাছাকাছি হলে মিথষ্ক্রিয়া সহজতর হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল পরিবেশে এই প্রক্রিয়া চলমান থাকে এবং এ-র মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পারষ্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় করে।ভিন্ন মত ও পথকে যুক্তির মানদণ্ডে পরিমাপ করে।অবশেষে, সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।এখন প্রশ্ন হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোন লক্ষ্য অর্জনের জন্য সেখানে যায়? নিশ্চয় তারা নতুন উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রজ্ঞার বিস্তারণের মধ্য দিয়ে নতুন জ্ঞান সৃজনের লক্ষ্য নিয়ে যায়।
বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির অস্থির অবস্থা দ্বারা সকল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এক বিশাল অংশ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে গ্যাছে।তারা চাকুরী মুখি প্রবণতা দ্বারা প্রবলভাবে আক্রান্ত।অনেকেই শিক্ষা জীবনের এ-ই পর্যায়ে এসে বিসিএস-এর আদলে একটি চাকুরী পাওয়ার আশায় শিক্ষা অর্জন করছে।ফলে উন্নয়নের মানবিক দিক চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে।অন্যদিকে, জ্ঞানচর্চার সামষ্টিক শক্তির দিকে তারা দৃষ্টি কেউ দিচ্ছে না।শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশ যুগলপ্রেমের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে ; যা তাদের সামষ্টিক প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের মহত্ত্ব ও বিশালত্ব অবহেলিত হচ্ছে।তারা প্রকৃতির সৌন্দর্যের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার সাহস ও শক্তি হারিয়েছে।বিশাল প্রকৃতি যে আমাদের মৌলিক শিক্ষালয়- তা আমরা ভুলে যাচ্ছি।
এজন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক,অভিভাবক সকলেই সচেতন হওয়া উচিত।শিক্ষার লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমাদের সাধন পথ রচিত হবে; যাতে আমাদের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
০৩/০৮/২০২২
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন