সরকারি চাকুরে এবং ব্যবসায়
সরকারি চাকুরীজীবিদের ব্যবসায়ে জড়ানো নিষিদ্ধ ; একইভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করাও তাদের উচিত নয়।সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মৌলিক কাজের অন্যতম হচ্ছে, ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা।কিন্তু সরকারের কোন প্রতিষ্ঠান যদি আয়বর্ধক কাজে সরাসরি যুক্ত থাকে, তাহলে তাদের পেশাদারিত্ব হুমকির মুখে পড়ে।পাকিস্থানের সেনাবাহিনী এর বড় প্রমাণ।তারা তাদের আর্থিক দুর্বিত্তায়নের ইচ্ছা পূর্ণ করতে গিয়ে পাকিস্থানের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।তারা পাকিস্থানের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।ফলে তাদের পেশাদারিত্ব মান হারিয়েছে।যার ফল হচ্ছে, বার বার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা।
বাংলাদেশেও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তাগণ সরকারি প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক উন্নতির উৎস হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ খুঁজে যাচ্ছে,কেউ কেউ ব্যবহার করছে।এক্ষেত্রে যাদের লাঠির জোর বেশি তারা এগিয়ে আছে।কিন্তু দেশের নিরাপত্তা,আইন-শৃংখলা এবং সেবাখাতের সরকারি ব্যক্তিগণ যদি লোভের ফাঁদে পা বাড়ায় তাহলে তারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবে;এ সত্য তাদের অনুধাবন করতে হবে।
সরকারি অফিস আদালতের বাইরে ভূমি ব্যবহার,এর উন্নয়ন এবং তদারকির জন্যও সরকারের প্রতিষ্ঠান আছে।যার যতটুকু করা যৌক্তিক তাকে শুধুমাত্র ততটুকু করবার সুযোগ দেয়া উচিত। কিন্তু এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বন্ধ কাম্য নয়।
টি আই বি’র রিপোর্টের সত্য মিথ্যা যাচাই না করেও আমরা ভুক্তভোগীরা বলতে পারি,সরকারি অফিসের মধ্যে বেশির ভাগ দুর্নীতিতে নিমজ্জ্বিত।অর্থাৎ এখানে বসে বসে তারা এক ধরনের ব্যবসায়িক কর্ম সম্পাদন করে যাচ্ছে।অথচ মনে রাখা উচিত, আমাদের কল্যাণের জন্য আমাদের সৎ হওয়া উচিত।০৩/১০/২০২১
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন