শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২

এনসিটিবি বনাম মাউসি

 

এনসিটিবি বনাম মাউসি

এনসিটিবি শ্রেণিভিত্তিক পাঠ্যপুস্তক নির্ধারণ করে থাকে;তাদের একদল গবেষক আছেন।তারা পাঠ্যপুস্তক পাঠদানের জন্য শিক্ষকের জন্য সহায়ক পুস্তক প্রণয়ন করে থাকে।সাথে সাথে শ্রেণিতে পাঠ উপস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় পাঠপরিকল্পনা প্রণয়ন করে থাকে ; যে পরিকল্পনায় শ্রেণি পঠন পাঠনের সময়ও নির্ধারণ করে থাকে।অন্যদিকে, মাউসি'র মূল কাজ হচ্ছে শিক্ষা প্রশাসন চালানো ; তাদের চেয়ার ক্রমাগত পরিবর্তন হয়,যে টুকু তারা করে থাকেন- তা হলো ক্ষমতা প্রয়োগের চর্চা; তাদের গবেষণা করার সুযোগ নেই।
 
যেহেতু, এন সি টি বি'র ক্ষমতা দেখানোর সুযোগ সীমিত, সেহেতু তাদের কথা কে শুনবে?রমজানে কিভাবে, কয়টি পিরিয়ড চলবে এ নিয়ে মাউসি একটি নির্দেশনা দিয়েছে ; যেখানে তারা বলেছেন,২১০ মিনিটে পাঁচটি পিরিয়ড় চলবে।তাহলে প্রতি পরিয়ড়ের বিস্তার হচ্ছে ৪২ মিনিট। কিন্তু প্রথম পিরিয়ড যদি একঘন্টা হয় তাহলে বাকিগুলোর সময়কাল হবে ৩৭.৫ মিনিট করে।অন্যদিকে, যদি শিক্ষকদেরকে এন সি টি বি'র বিশেষজ্ঞ দলের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হয়,তাহলে প্রথম পিরিয়ডকে একঘন্টা ধরতে হয় এবং বাকি পিরিয়ড়ের প্রতিটি হওয়ার কথা ৫০ মিনিট করে।আমরা দেখেছি,এই সময়কালে শিক্ষার্থীদেরকে মূল্যায়ন এবং একক কাজ,দ্বৈত কাজ ও গ্রুপভিত্তিক কাজে যুক্ত করা যায়।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের সময় শ্রেণি পঠন পাঠনের যে পরিকল্পনাকে সামনে রেখে পরিচালনা করা হয়,সেগুলো এন সি টি বি'র নির্দেশনার আলোকেই করা হয়।কিন্তু মাউসি কেমন করে প্রশিক্ষণের সাথে দ্বান্দ্বিক সিদ্ধান্ত প্রদান করে- তা বোধগম্য হচ্ছেনা।
মাউসি শিক্ষণ শিখানো বিষয়ে যে কোন নির্দেশনা প্রদানের আগে নির্ভরযোগ্য গবেষণা অনুসরণ করা উচিত; এটি আমরা কল্যাণকর মনে করছি।কয়টা পিরিয়ড চলবে সে নির্দেশনা না দিয়ে কয়টা পর্যন্ত চলবে-তা-ই বলা উচিত।০১/০৪/২০২২

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Printfriendly

Featured Post

জাতি নির্মাণে গল্পযোগ

  জাতি নির্মাণে গল্পযোগ   ১ ।   মানুষ সামাজিক জীব।তারা পরিবার গঠন করে।তারপর সে-ই পরিবার একটি গোষ্ঠীতে রুপান্তরিত হয় এবং ধীরে ধীরে একাধিক গোষ...