বই ও ক্রেস্ট সমাচার
ক্রেস্টেই ভক্তি,ক্রেস্টেই মুক্তি!শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন থালা,বাসন,বাটি, গ্লাস দিয়ে জাতীয় শিক্ষা সাপ্তাহ,ক্রীড়াসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদানের জোয়ার শুরু হলো,তখনই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এসেছিলো। তারা জানালেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল প্রতিযোগিতা ও সন্মানিত করার পুরস্কার বই দিয়ে দিতে হবে।সকলেই বইয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করলেন।কিন্তু বইকে দেয়া হলো হলো না।কারন,বইয়ের মুখ আছে; তার পাতা উল্টালেই সে কথা বলে।সে কথা বলে,যুক্তি ও মুক্তির কথা।এতো কথা কারই বা ভালো লাগবে? অবশেষে, সকলেই ভরসা করলেন ক্রেস্টে।ড্রয়িং রুমে সদা প্রদর্শিত ক্রেস্ট দেখে উপহার পাওয়া ব্যক্তির অহংকারে বুক ফুলে উঠবে,সিরামিকের শাদা থালায় খেতে বসে সামাজিক উঁচু আসনের কথা মনে পড়বে। কিন্তু ভালো বই আমাদের ভেতর জাগিয়ে তুলবে।বই নিয়ে বোঝাপড়া, কথা বলা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে।
একসময় আমরা আলোচনা করতাম কার কয়টা বই আছে।এখন আলোচনা হয়, কার কয়টা ক্রেস্ট আছে।থালা, বাসন,বাটি উপেক্ষিত থেকে যায়।অচিরেই প্রাপ্ত থালা,বাসনও আলোচনার বিষয় হবে।
সমাজ যখন উল্টো স্রোতে বহমান থাকে,তখন জ্ঞানীরাই সজ্ঞানে হাল ধরে থাকেন।আমাদের যে কী হলো! সকলেই ভেসে যাচ্ছি।এমন চলা অনুচিত।বিদ্যালয়ে আসন্ন প্রতিযোগিতায় বইকেই পুরস্কার হিসেবে প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।এটা বিবেক,প্রজ্ঞা ও সময়ের দাবি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ থাকলো, তারা যেন বিশেষ নির্দেশনা দেয়।প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন পুরস্কারের জন্য কেনা বইয়ের ছবি প্রেরণ করে।এতে হয়তো অবস্থার পরিবর্তন হবে।
২৭/০৭/২০২২
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন